Tuesday 28 June 2011

সেদিনও বৃষ্টি ছিল কলকাতায়

সেদিনও বৃষ্টি ছিল কলকাতায়
সারাদিন, ইলশেগুড়ি |
পলিথিন মোড়া ফুটপাথে
মেনকার সংসার |
বিশ্বামিত্র  তখনও ধ্যানে |
অপ্সরার ছলাকলা 
অপেক্ষায় নিশুতি রাতের |
বোকা মেয়ে জানত না
ধ্যান ভাঙ্গার গান শুরুর আগেই 
হিংসুটে বৃষ্টি ভাসাবে কলকাতাকে  |
পলিথিনে মোড়া সংসার
ভেসে যাক কাগজের নৌকোর মত   |
তবু ধ্যান আজ ভাঙবেই |
বিপদজনক নোটিশ ঝোলানো
বাড়িতে শুরু হয় লাস্য |
আবহ  সঙ্গীতে সেই বৃষ্টিরই শব্দ |
এত নিষ্ঠা নেই তোমার বিশ্বামিত্র
যত মেনকার আছে |
এমন আকাশ  ভাঙ্গা লাস্যে
তুমি সিক্ত হবে জানি |
সেদিন ওই ভেজা কলকাতায়
বিপদজনক বাড়িটিতে যা ঘটে
তার ফলে জন্ম নেয় শকুন্তলা
কলকাতার ফুটপাতে |




Thursday 5 May 2011

গাছগুলো

তাই গাছগুলো গাঁয়ে ফেলে এলাম |
অনিকেতের শহরে এসে দেখি
ফেলে আসা গাছেদের
ছায়া পড়ে আছে |

এইবারে বিলাসী বিশ্রাম তবে  |
ছায়ায় হেলান দিতে না পেরে
 ক্লান্ত আমি , বুঝি
ছায়া কোনো আশ্রয় নয় !
দিন যত বাড়ে
অপসৃয়মান বিশ্রাম আমার |
ইস, গাছগুলো গাঁয়ে ফেলে এলাম |

Wednesday 4 May 2011

বিবর্তন


শোভন নিলোৎপল  
তথাগত বুদ্ধ
মায়া মমতা 
পৃথিবীর নরম যত শব্দ 
এখন শুধুই রাজনীতি 
 
 
  

Thursday 21 April 2011

অকারণ


স্তন, যোনি, ঠোঁট যদি নাই হত 
বুঝতাম তবে তোমার 
নারীত্ব কত !
পুরুষাঙ্গ , শশ্রু, গুম্ফো , কর্কশ স্বর 
যদি নাই হত বোঝা যেত 
পুরুষ কদর  !
স্বাকামি, এককোষী আমিবার মত 
যদি মানুষ জন্ম নিত 
তবে আমার স্বদেশ অকারণ 
শিখত না শব্দ তিন 
যুদ্ধ , হিংসা, ধর্ষণ ||

Monday 11 April 2011

তিন সন্ধ্যে

জানতে চাওনি তাও ,
মনে হয়েছিল যদি
তিনটে  সন্ধ্যে চাওয়া যায়
 

সন্ধ্যে এক
লর্ডশেডিইং-এর ঠিক পর
শিক দেওয়া জানালার 

পাশে বসে
মুখোমুখি কবিতা শোনার
 

সন্ধ্যে দুই
কোনো এক কালবৈশাখী ঝড়ে
অজয়ের ধারে তোমাকে পাবার
 

সন্ধ্যে তিন
বুদ্ধ পূর্নিমা সাঁঝে 
তোমার মাথাটি নেব
আমার সমস্ত কোল মাঝে

মিয়োনো দেশলাই তাই
সাঁঝবাতি জ্বলেনি আমার
শুধু একটি রাত্রি এসেছিল |
গোপনে দুজনে মিশে যাবার
কালিঘেরা রাত্রির শেষে
বলেছিলে ডেকে
তোমার প্রেমিকার কাছে
আমার তিনটে সন্ধ্যে
রাখা আছে |

Sunday 10 April 2011

সুখ

দুঃখেরও একরকমের সুখ থাকে
তবে  কোনো ডানা থাকে না
যাতে ভর করে ওড়া যায়
কেবল ভার কিছু কমে
আর নির্ভার দুঃখেরা তখন
অপেক্ষা  করে পরবর্তী

কোনো দুঃখের আশায় ||

Thursday 7 April 2011

গৃহ প্রবেশ


প্রথম  আমার গৃহ প্রবেশের দিন
বলতে পারিনি ঘরে ঢোকবার ছড়া 
উনুনে  সেদিন উলে  ওঠেনি দুধ
কাঁখালেও  আমি তুলতে পারিনি ঘড়া | 
শেষ আশা ছিল পাঁকাল মাছটি ঘিরে
মনে হয়ে ছিল জাপটে ধরব মীন
লাফ দিল ওটা আঙ্গুলের ফাঁক গালে
উঠানে খুঁজেছি দুবছর প্রতিদিন |


আচ্ছা বলতো আমি কি জাতিস্মর!
মনে পড়ে কেন মস্ত আরাম কেদারা
মনে পড়ে কেন সাদা মার্জারখানি 
নিয়ে খেলছিল নরম উলের গোলা |
পাশে কেন ছিল রাখা আচারের বাটি
আচ্ছা বলতো  পোয়াতি ছিলাম নাকি! 
জানালার পাশে বুগনভেলিয়া আর 
নিজে হাতে পাতা নরম বিছানা চাদর 
আচ্ছা বলতো আমি কি জাতিস্মর! 
মনে পড়ে দিন চলচ্ছবির মত 
পাঁকাল মাছটি ধরতে পারলে পর 
এ জনমেও এই সব কিছু হত!